স্বদেশ ডেস্ক:
ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় মস্তিষ্কে আঘাতজনিত সমস্যায় (ট্রমাটিক ব্রেইন ইনজুরি বা টিবিআই) আক্রান্ত সৈন্যের সংখ্যা বেড়ে ১০৯ জনে দাঁড়িয়েছে বলে স্বীকার করেছে পেন্টাগন। পেন্টাগন এর আগে তাদের ৬৪ জন সেনা আহত হয়েছে বলে জানালেও এবার সংখ্যাটি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেল। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের ব্যালিস্টিক পেণাস্ত্র হামলায় আমেরিকান কোনো সৈন্য আহত হয়নি বলে প্রথমে দাবি করেছিলেন।
বাগদাদে ইরানি জেনারেল সোলাইমানি যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় নিহত হওয়ার পর সৃষ্ট তীব্র উত্তেজনার মধ্যে প্রতিশোধ হিসেবে ৮ জানুয়ারি ওই হামলা চালায় ইরান। আহত সেনাদের প্রায় ৭০ শতাংশ তাদের কর্মস্থলে ফিরে গেছে বলে তাদের দেয়া বিবৃতিতে যোগ করেছে পেন্টাগন। সংখ্যায় বাড়তে থাকা আহতদের সবার মৃদু আঘাত লেগেছে আর সে কারণেই লণ স্পষ্ট হতে সময় নিচ্ছে বলে জানুয়ারিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিল পেন্টাগন। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা জনি আর্নস্ট এ বিষয়ে আরও জবাবদিহির আহ্বান জানিয়েছেন।
এক টুইটে তিনি বলেন, ‘আমি পেন্টাগনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, ইরাকে মোতায়েন আমাদের বাহিনীর সুরা ও সেবা নিশ্চিত করার জন্য যারা সম্ভবত ব্লাস্ট ইনজুরিতে আক্রান্ত।’ গত মাসে সুইজারল্যান্ডের দাভোস সম্মেলনে এ ঘটনার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি মস্তিষ্কে আঘাতজনিত সমস্যাকে খাটো করে দেখিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি শুনেছি তাদের মাথাব্যথাসহ হালকা কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছিল; কিন্তু আমার কাছে ওগুলোকে বড় কোনো সমস্যা মনে হয়নি।’ মস্তিষ্কে আঘাতজনিত সমস্যা যাকে ‘কনকুসিভ ইনজুরি’ বলা হয়, তাতে মাথাধরা, মাথাঘোরা, আলোক সংবেদনশীলতার মতো বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে।